।। বাক্ ১৩৩ ।। কবিতা : পলাশ কুমার পাল ।।



ভাতের গল্প

না-মাজা হাঁড়িতে পুকুর মিলে ছাড়ি মাছ। তার নীচে লাইব্রেরী রেখে জ্বালা পাঠ। মাছেরা বই পড়ে আর বৌয়ের মতো ওঠে-নামে তাদের সংসার...

ফুলে ওঠে মুখ। বেজে ওঠে শাঁখ ফেনা ফেনা। কালো হাঁড়ির গায়ে সাদা সাদা ফেনা। কাদা কাদা করে পাঠ...

ফ‍্যাদা হয়ে ওঠে মাছেরা পুকুর মন্থনে। তারপর আর তার আগের মাঝে ঘিঁটে নেওয়া বৌ রক্তে রক্তে। শীতল হয়ে থলথলে একতল সন্ধ্যা। সে সন্ধ্যায় সেই ফ‍্যাদা রেখে যাই, গাই, খাই মলাটের ভিতরের মলাট। ময়ালের মতো

সওয়ালের পাশে পড়ে থাকে শুধু একটা গাই-




ভাবনা × আমি


আমি যেভাবে ভাবি, ঠিক সেভাবের বিপরীতে আমারই গায়ের পালকেরা খসে খসে যায়। শহর ছাড়িয়ে শহুরেরা। ফকির হতে হতে একফ্রক শিশুবেলায়...

পাশে বাজারের থলি হাতে অসহায় বাবা। সামনে পালক ছাড়ানো মুরগীটা ঝোলে। আমি দেখি আমাকে। ঝোলা গুড়ের মতো একটা দোকান। কিনতে পারলে পেট ভরে যেত...

 তারপরে পালক আর পালক...

খালি পায়ে ফিরে আসি। ফিরে আসে বাবা। ফুরফুরে বাজার পেরিয়ে ফুচকার অধ‍্যায়ে।

No comments:

Post a Comment