শীতের গাঙচিল
কত দ্রুত বদলে যাচ্ছে মানুষ ও কাল! বিস্ময়করভাবে হাতে চাঁদ
পাওয়ার মতো তুমি আমার হাতটি ধরতে চাইছিলে যখন জানলে
আমিই একমাত্র জলে লেখা পদ্যে খচিত আমার নাম, আমি সবুজ
পাতার ওপর লগ্ন হয়ে থাকি, আমার চিন্তার আকাশে দুলে ওঠে
জীবনানন্দ দাশ এসব তো লোভার্ত ব্রাহ্মণের ভালো লাগবার কথা নয়!
একদিন ভূত দেখার মতো তোমার মুখমণ্ডল ডাব হয়ে ঝুলে
পড়েছিলো গোধূলিলগ্নে! চিরচেনা পথও কত অচেনা হতে পারে তা
বুঝিয়ে দিয়েছে পথের বাঁক! এখন হেমন্তের অন্ধকারে উড়ে যাচেছ
শীতের গাঙচিল, দুর্নিবার বেদনা জেগে উঠলেও অনন্ত স্মৃতির
মধ্যে মার্বেল পাথর জলের প্রতিভা এঁকে দেয় হৃদয়ে আমার
পড়েছিলো গোধূলিলগ্নে! চিরচেনা পথও কত অচেনা হতে পারে তা
বুঝিয়ে দিয়েছে পথের বাঁক! এখন হেমন্তের অন্ধকারে উড়ে যাচেছ
শীতের গাঙচিল, দুর্নিবার বেদনা জেগে উঠলেও অনন্ত স্মৃতির
মধ্যে মার্বেল পাথর জলের প্রতিভা এঁকে দেয় হৃদয়ে আমার
ভাঙা দৃশ্যপট
জীবনে কাকে বেশি প্রয়োজন হারাধন বোঝে না তা ।
হেমন্তের মধ্যদুপুরে শীতের ক্লান্ত গ্রীবা বোকা হয়ে হেলে
পড়েছে দূরের বারান্দায়। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ অবিবেচক
যারা তারা খিঁল এটে বসে আছে আজ! মানুষই খেয়ে ফ্যালে
মানুষের অখণ্ড সময় উদাসীন মন আর দুরন্ত সুখ
অন্তঃপুরের চক্রান্ত বিমর্ষ করে তোলে মন ও ভাবনার জগৎ
পাখি মানে পাখির চিত্রকল্প! স্বপ্ন মানে ভাঙা দৃশ্যপট
দিন চলছে দিনের মতো পুরোনো বাড়ি মানে একাকিত্ব
আর স্মৃতির বৈভব। লোভীদের নিকট প্রতিশ্রুতির
কোনো মূল্য নেই। অবশেষে তুইও ধূর্ত শৃগালের মতো
বাড়িয়ে দিয়েছিস গলা ! বিস্ময়করভাবে বিষণ্ন ছায়া
এসে পড়েছে অলিন্দে! সামান্য প্রসন্ন হলে সব ক্লান্তি
জলের মতো আদুরে হয়ে ওঠে। মানুষের মনের ভেতরে
কেন এতো লোভ এত ঘৃণা এতো অবিশ্বাস খেলা করে!
এই দেশ এই বনভূমি তাহলে সীমিত জল ও শিকড়ে
বিষণ্ন হয়ে উঠবে ? সম্পর্কসমূহ ভেসে যাচেছ লবনহ্রদে
তুই আজ শত্রুর চেয়েও অধম জন্তুর উল্লাসে ঝরা পাতা
হেমন্তের মধ্যদুপুরে শীতের ক্লান্ত গ্রীবা বোকা হয়ে হেলে
পড়েছে দূরের বারান্দায়। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ অবিবেচক
যারা তারা খিঁল এটে বসে আছে আজ! মানুষই খেয়ে ফ্যালে
মানুষের অখণ্ড সময় উদাসীন মন আর দুরন্ত সুখ
অন্তঃপুরের চক্রান্ত বিমর্ষ করে তোলে মন ও ভাবনার জগৎ
পাখি মানে পাখির চিত্রকল্প! স্বপ্ন মানে ভাঙা দৃশ্যপট
দিন চলছে দিনের মতো পুরোনো বাড়ি মানে একাকিত্ব
আর স্মৃতির বৈভব। লোভীদের নিকট প্রতিশ্রুতির
কোনো মূল্য নেই। অবশেষে তুইও ধূর্ত শৃগালের মতো
বাড়িয়ে দিয়েছিস গলা ! বিস্ময়করভাবে বিষণ্ন ছায়া
এসে পড়েছে অলিন্দে! সামান্য প্রসন্ন হলে সব ক্লান্তি
জলের মতো আদুরে হয়ে ওঠে। মানুষের মনের ভেতরে
কেন এতো লোভ এত ঘৃণা এতো অবিশ্বাস খেলা করে!
এই দেশ এই বনভূমি তাহলে সীমিত জল ও শিকড়ে
বিষণ্ন হয়ে উঠবে ? সম্পর্কসমূহ ভেসে যাচেছ লবনহ্রদে
তুই আজ শত্রুর চেয়েও অধম জন্তুর উল্লাসে ঝরা পাতা
সারা পথজুড়ে হেমন্ত
ঘোলা স্রোত যদি তোমাকে টানে তবে যাও আঘাটার দিকে
এ এক নোতুন খেলার কেচছা, হাইফেন দিলে যতটা দূরত্ব বাড়ে
ঠিক ততটাই খিল এটে বসে আছো তুমি! বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য
ছাড়া যেন মানুষ চলতে পারছে না! সারা পথজুড়ে হেমন্ত ! অথচ
শীতের কোনো রঙ নেই, থমকে গ্যাছে পথ ও সন্ধ্যার আকাশ
আমি যখন উবারে বাড়ি ফিরছিলাম চৌদিক আবছা আবছা
অন্ধকার স্মৃতি ও গ্রামের পথের কথা মনে করিয়ে দিচিছল
আজ এইদিকে বিপনীবিতানের ছুটির দিন কেবল কাঁটাবনে পাখি
ও ফুলের পসরা কিঞ্চিত উপভোগ্য বটে! কনকর্ড টাওয়ারে না কি
আজকাল পাল্লায় মেধা ও কবিতা উঠিয়ে দিচেছ একচক্ষু দাড়িওয়ালা
প্রেতাত্মা! একদা এভিনিউ তছনছ করে এখন বুনো মাকাল ফল!
এখন আমার জন্য কেউ অপেক্ষা করেনা! মায়ের ছিল ক্লান্তিহীন অপেক্ষা
আমার জন্য! আর আমি যাকে ভালোবাসলাম, না বুঝতে চাইল আমাকে
না আমার অপেক্ষাকে! জীবন এমনই বিস্ময়কর আর মায়াহীন
বেশ মরমে বিদ্ধ হল শব্দগুলি ।
ReplyDeleteহ্যাঁ, তৈমুরের সঙ্গে আমি একমত সুহিনা ।
ReplyDelete"জীবনানন্দ দাশ এসব তো লোভার্ত ব্রাহ্মণের ভালো লাগবার কথা নয়!"
ReplyDeleteএটা । মনে থাকবে